দেবার্ঘ সেন-এর কবিতা ।। Debarghya Sen
অব্যয়
শরীরের অন্তস্থ দ্বীপে অধিকারী আলো,
লবণাম্বুরাশি..কশেরুকা সৈকত ঘ্রাণ।
কতদিন ছুঁইনি আবর্ত
কেমন আছে সেসব সহজাত চণ্ডালাদি
কেমন আছে সেসব মিথ্যে স্রোত!
দেখো মস্তিষ্কের মণ্ডপে শরীরের জলরঙে
ঘনিয়ে আসছে গোধূলি..
দোষ কাটিয়ে
বৃন্তকে কি জাগানো যাবে না এখনও
শরীরের শেষ আলোয় দাগা হলে খড়িমাটি
উভয়েই তো প্রাক চন্দ্রবিন্দু..
নড়ে উঠে ঝরে পড়া তুলসীপাতা অব্যয়
বেলেল্লাপনা
ভয় নেমে আসছে
চুঁই চুঁই
আগুনের বেলেল্লাপনা, ভালো লাগছে না আর।
ভয় নেমে আসছে
শৈবাল পাহাড় থেকে
মানুষ বুঝতে পারছে না কোনদিকে যাওয়া ঠিক।
যাদের দ্বারা ভয়কে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে
তাদের কাছে মানুষ আশ্রয় চেয়ে
একদা হয়েছিল সহায়
ওহ, গণতন্ত্র তুমি আর কত নীচু হবে?
পিক্সেল
রাস্তার পাশে বড় গাছটার দুটো পাতা নড়ছে, অপ্রাকৃতিক।
রাস্তাটা প্রাকৃতিকভাবে কেঁপে উঠবে আর কয়েক ঘন্টা পরে।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চারচাকা গাড়িটি দুলছে।
রাস্তাটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে আবছা হয়ে যাবে, গণমাধ্যমের খামে
আমি, আমার ফেসবুকে তোমার প্রোফাইল খুলে বসে আছি।
গঙ্গার কোনও শুদ্ধিকরণ হয় না জেনে, প্যান্ট খুলে রাখছি লন্ড্রি ব্যাগে।
লন্ড্রি ব্যাগ থেকে রিসাইকল বিন, রাস্তাটার ক্রমশঃ
পিক্সেল কাউন্ট কমে আসছে
চোখে গঙ্গাজলের ঝাপটায়, গাড়িটিকে মাছিরা ঘিরে ধরছে, তীব্র আঁশটে গন্ধে..
ReplyDeleteপ্রথম কবিতাটি "অব্যয়" আমাকে অমৃতের স্বাদ দিয়েছে।
আমার মনের অন্তর কাঠামোর সঙ্গে এইরূপ কবিতা একাত্ম হয়ে ওঠে। সে কথা বোধহয় দেবার্ঘ জানে। ওকেই আমি Z-gen.এর সেরা কবি বলে মনে করি।
দ্বিতীয় কবিতাটি পড়ে মনে হল , আবচৈতনিক। কথাটা আমি অবশ্য বিনয় মজুমদারের থেকেই ঋণ নিয়েছি।
ReplyDelete