Showing posts with label Z - প্রজন্মের কবিতা. Show all posts
Showing posts with label Z - প্রজন্মের কবিতা. Show all posts

Friday, March 22, 2024

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস ) বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া ।। চিত্রা ভট্টাচার্য্য, Chitra Bhattacharya

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস )

বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া। 

চিত্রা ভট্টাচার্য্য




" পরম চেতনার পথে কবিতা ;'' লেখক কবি অরুণ দাস মহাশয়ের বই টি পড়ার পর বড়ো অবাক হয়েছি।আধুনিক কবিতা নিয়ে কবির এমন সূক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ও  প্রকাশ , এমন নিগূঢ় তত্ত্ব বোধ এর আগে বিশেষ পড়িনি। কবির ভাষায় নব  প্রজন্মের  কবিদের  কবিতা কে নিয়ে কেমন করে শিল্পের  সুউচ্চ মার্গে পৌঁছোতে হবে  ; বই টি তে আদ্যন্ত তারই প্রকাশ অনুভূত হলো। শিল্প সাহিত্য কাব্যের আঙিনায় প্রতিষ্ঠার জন্য একজন শিল্পীর মানসিক প্রস্তুতির নিপুন অনুশীলন ও বলা যায়।  অক্ষর শিল্পীর কাব্য রাজ্যে নিজেকে উৎসর্গ করার  এক মূল্যবান উপক্রমণিকা। কবি বললেন ,নব্য যুগের অক্ষর শিল্পীর কবিতা রচনা অভ্যাসে  থাকবে  নিবিড় প্রয়াস এবং কাব্যেই যাপন। একজন অতি সাধারণ পাঠক হয়ে ''এমন  নিখুঁত কাব্য দর্শন নিয়ে লেখা বই টির , আলোচনায় কী  লিখবো ? বা লেখার  যোগ্যতা কত টুকু আমার আছে ? ভেবে পাই না। 


আধুনিক কবিতায় প্রায় ই দেখি যে এলোমেলো শব্দ গুলো হঠাৎ মনে পড়েছে কবি  তাকেই কথার জালে জড়িয়ে  কবিতায়  রাখলেন। বর্তমান যুগের  কবিতার ভাষা বা কাব্য বোধ তেমন আবহ সৃষ্টি ,সুললিত ছন্দ ও শ্রবণ মাধুর্য বা শব্দের ঝঙ্কার ইত্যাদি  পাঠক মনে অনুরণন বা তেমন সাড়া জাগায় না। কবি বললেন , কবিতা পাঠে'' চক্ষু কর্ণ জিহ্বার ভূমিকা সর্বশ্রেষ্ঠ। শ্রবণেন্দ্রিয়ের সক্রিয়তার বৃদ্ধি ঘটলে বর্ণ ও শব্দের অন্তর্নিহিত ধ্বনির গভীরতম ব্যাঞ্জনা সহজেই ধরা দেয়। বর্ণ , ধ্বনি ও শব্দের অনুভব মস্তিষ্ক ও হৃদয়ে সঞ্চারিত করে। '' এই প্রথম দেখলাম কবিতাকে মনোগ্রাহী করে পাঠকের দরবারে শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে গেলে তার পিছনে ও  জটিল বিজ্ঞান রয়েছে। কবি অরুণ তার বই টিতে  নিজেই এক গভীর দর্শন সূক্ষ্ণ অনুভূতির চড়াই উৎরাই ডিঙিয়ে বারংবার নানাভাবে শেখাতে চাইলেন সাহিত্যের তীর্থ ক্ষেত্রে আধুনিকতার মোড়কে মুড়িয়ে  কবিতাকে ঐশ্বর্য্য মন্ডিত করে সরস্বতীর পাদপদ্মে স্থাপনা  করতে হলে চাই স্রষ্টার সর্ব ইন্দ্রিয় দিয়ে কাব্য সুন্দরী কে অনুভব করে একাগ্র ভাবে অসীম সাধনা। 


  তিনি পরতে ,পরতে শিখিয়েছেন শিল্পীর  ধমনীতে প্রবাহিত যে শৈল্পিক চেতনা বোধ রয়েছে ,সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে তাতে  সম্পূর্ণ অবগাহন করতে হবে।  অভীষ্ট কে পেতে হলে সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে ঐকান্তিক লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে ।  নতুন যুগের  স্রষ্টা কে  বললেন মন প্রাণ সহ সকল ইন্দ্রিয় কে উৎসর্গ করো তোমার সৃষ্টির আকাঙ্খাতে । '' পরম চেতনার জ্ঞান কে উপলব্ধি করতে গেলে ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।''  চাই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের গভীর নিয়ন্ত্রণের সাথে পরমচেতনার শিল্প সৃষ্টিতে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মনের যোগের সমধিক প্রয়োজনীয়তা।  দার্শনিক  কবি স্মরণ করালেন মানব শরীরে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মন I জ্ঞানেন্দ্রিয়, বুদ্ধি ,আত্মা এগুলো এক নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া অনুভবের বিভিন্ন অংশ মাত্র। মনের সাহায্যেই ইন্দ্রিয় সমূহ দ্বারা মানুষ বিভিন্ন বিষয় অনুভব করতে পারে। আবার মন অপেক্ষা বুদ্ধি শ্রেষ্ঠ। বুদ্ধি থেকে আত্মা শ্রেষ্ঠ। দেহের সব ইন্দ্রিয় জ্ঞান বুদ্ধি সবে মিলে কর্মের সাধন হয়।  


   হৃদয় স্পর্শী কবিতা লিখতে গেলে, কবিতা লেখার নিয়ম অনুসরণ না করলে কবিতা লেখা অনেক কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।  কবি অরুণ  দাস মহাশয়ের ''পরমচেতনার পথে কবিতা '' বইটি পড়ে  বারংবার  বলতে চাই আধুনিক যুগের কবিদের কাব্য সৃষ্টির প্রেরণায়  এই বইটি একটি মূল্যবান অভিধান। আগামী প্রজন্মের নব্য কথা শিল্পীদের কাছে সৃষ্টির দরজায় প্রবেশের আগে এই বইটি পথ প্রদর্শক।  বাস্তবিকই এক নতুন পথের দিশারী হয়ে থাকবে ।

Thursday, February 24, 2022

দেবার্ঘ সেন-এর কবিতা ।। Debarghya Sen

দেবার্ঘ সেন-এর কবিতা ।। Debarghya Sen





অব্যয় 


শরীরের অন্তস্থ দ্বীপে অধিকারী আলো,

লবণাম্বুরাশি..কশেরুকা সৈকত ঘ্রাণ। 


কতদিন ছুঁইনি আবর্ত 


কেমন আছে সেসব সহজাত চণ্ডালাদি

কেমন আছে সেসব মিথ্যে স্রোত! 


দেখো মস্তিষ্কের মণ্ডপে শরীরের জলরঙে

ঘনিয়ে আসছে গোধূলি.. 


দোষ কাটিয়ে

বৃন্তকে কি জাগানো যাবে না এখনও 


শরীরের শেষ আলোয় দাগা হলে খড়িমাটি 

উভয়েই তো প্রাক চন্দ্রবিন্দু.. 


নড়ে উঠে ঝরে পড়া তুলসীপাতা অব্যয়



বেলেল্লাপনা 


ভয় নেমে আসছে

চুঁই চুঁই 

আগুনের বেলেল্লাপনা, ভালো লাগছে না আর। 


ভয় নেমে আসছে 

শৈবাল পাহাড় থেকে 


মানুষ বুঝতে পারছে না কোনদিকে যাওয়া ঠিক। 


যাদের দ্বারা ভয়কে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে 

তাদের কাছে মানুষ আশ্রয় চেয়ে 

একদা হয়েছিল সহায় 


ওহ, গণতন্ত্র তুমি আর কত নীচু হবে?



পিক্সেল


রাস্তার পাশে বড় গাছটার দুটো পাতা নড়ছে, অপ্রাকৃতিক। 

রাস্তাটা প্রাকৃতিকভাবে কেঁপে উঠবে আর কয়েক ঘন্টা পরে। 

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চারচাকা গাড়িটি দুলছে। 

রাস্তাটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে আবছা হয়ে যাবে, গণমাধ্যমের খামে 


আমি, আমার ফেসবুকে তোমার প্রোফাইল খুলে বসে আছি। 

গঙ্গার কোনও শুদ্ধিকরণ হয় না জেনে, প্যান্ট খুলে রাখছি লন্ড্রি ব্যাগে। 

লন্ড্রি ব্যাগ থেকে রিসাইকল বিন, রাস্তাটার ক্রমশঃ 

পিক্সেল কাউন্ট কমে আসছে

চোখে গঙ্গাজলের ঝাপটায়, গাড়িটিকে মাছিরা ঘিরে ধরছে, তীব্র আঁশটে গন্ধে..

নিমাই জানার ছয়টি কবিতা ।। Nimai Jana

 নিমাই জানার ছয়টি কবিতা ।। Nimai Jana




জীবাশ্ম ও বাবার বুকপকেট




জীবাশ্ম কঠিন পদার্থ হলেই প্রাচীন সংখ্যাগুলো ঠাণ্ডা সাংখ্যমান নিয়েই হলুদ জ্যামিতির কাছে শুয়ে আছে সমান্তরাল বিন্যাসে তাদের শরীরের ১৩  ডিগ্রির গভীর জ্বর ছিল এই উষ্ণমন্ডলে পাশাপাশি শুয়ে থাকার পর সকলেই গর্ভপাত ঘটায়না

যে ব্রততী মানুষেরা রাতের অ্যালকোহলিক দোকানের সামনে এসে তিনটি ঘুম রোগের ঔষধ ঠোঁটের নিচে রাখে , তারাও জননতন্ত্র হীন চৌকাঠ নিয়ে উধাও হয়ে যায় রাতের কৌণিক ঘরের দিকে, 

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত নামক এক প্রাচীন অমিতাভ পুরুষ আমার ভাঙ্গা আয়নার পাশে এসে বসল বিয়োগান্ত কবিতার বিলীয়মান রং মেখে , আমি বাবা জামার বুক পকেটের দেশলাই দ্বিখণ্ডক অথবা জিংক সায়ানাইডের লাল জরায়ুর মুখ ,

কোনদিন অসীম দৈর্ঘ্যের পাশে একটি স্বরলিপি তৈরীর উৎস কেন্দ্র দোকানের কাছে একাকী মৃত মানুষের টিউরিং রিডার তৈরি করছে কম্পাঙ্ক বাতাস , প্রকৃত ভগ্নাংশের মতো সবাই অভিনেতা , তাদের তিনটি পোশাক থাকে শুধুমাত্র রাত্রিকালীন ওয়ারড্রবের জন্য ,

সহস্র অঙ্গুরীমালের গরম পাজামা খুলে ঝুলিয়ে রাখি মৃত্যুহীন নৌকার মতো এখানে কোন পুরুষ ম্যাগনিফাইং গ্লাসের তলায় নিজেদের অসৎ চেহারাগুলো লুকিয়ে রাখে নৌকার দুই হাজার বছরের কোন পুরনো অসুখ ভেবে , ভিগোরা মিনিমেক্স পারফিউমের মতো চকচকে



নীল অসুখ ও একাকী করিডোর


কোন নারী গর্ভপাত বিষয়ক অসুখকে নীল আলোর উদ্ভিদ বলতে পারেনা কারণ সকলের মৃত্যু একদিনে হয় না , মৃত্যু মুখাপেক্ষী

এখানে পরকীয়া পাথরকুচির গর্ভকেশর গুলোই একদিন বিদেহী কাগজ ফুলের আত্মা হয়ে প্রজাপতি নগরীর ঘুরে বেড়াবে বিষধর সাপের মত অথচ আমি এক খোকন নামক অদ্ভুত পুরুষকে নিয়ে যাব বৈকুণ্ঠ ভরদ্বাজ মুনির কাছে

আমি এবার নগ্ন হয়ে যেতেই পোষাকেরা বর্ণহীন হয়ে গেল , আমার লিঙ্গ মুণ্ডে বিষধর সাপ কামড়ে ধরেছে মধ্য প্রহরে

আমি কেবল শীঘ্রপতনের কথা ভেবে চলেছি

পেনিসিলিয়াম নোটেটাম ও ভৌতিক শরীরপুঞ্জ রেখে আসার পর রাত্রে যারা একটি দোকানের খোলা পাঞ্জাবিকে আবারো একবার কঙ্কাল ভেবে খুলে দেয় , তারাই আঁতকে ওঠে অ্যাড্রিনালিনের যোগফল গন্ধ শুঁকে

কেউ পরজীবী নয় যৌগিক স্বরবর্ণের মাথার উপর সকলেই হলুদ শাড়ি পরেছে আজ , নৃত্যের সময় পায়ের কড়ে আঙ্গুল থেকে প্রতিটি ভৌতিক হাসতে হাসতে একটি শ্মশানের কাছে এসে মিলিয়ে যায় আধখানা চাঁদ আর একটি জরায়ুমুখ রেখে



তৃণভোজী নাবিক ও রাজুর চা দোকান


গতকাল স্থানাঙ্ক বিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম সজনী ফুল আর তার দেহ গুলোর মতো,  আমার বাবা আসলে গভীর রাতের নাবিক তার হাতের প্রতিটি নৌকা অতলান্ত সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে এনেছে আমাদের প্রাচীন এক প্রপিতামহের বিশ্বযুদ্ধ

প্রাচীন দরজার হৃদপিণ্ডের উপর আমি শুক্রাশয়ের মতো ঝুলে থাকা একগুচ্ছ অন্ধকারের সাথে হাঁটুমুড়ে খেয়েছিলাম কাঁচা হলুদ রঙের পৌনঃপুনিক সমগ্র

আমি কেমন অস্থির হয়ে যাই খুব কম সময়ের জন্য , আমার নারী ঘুমের ভেতর একটি প্রকট শব্দ করে এই সাপেদের উপত্যকায় নেমে , পরীরা এসে মিলিয়ে যায় রেটেল স্নেকের পা ভেজানো জলের ভেতর মুখ রেখে

আমি প্যারাফিনের থালা থেকে রজনীগন্ধার গর্ভকেশর নিয়ে গলায় অ্যালকোহল ঢালছি রাজুর চা দোকানে দাঁড়িয়ে

নারায়ণ বল একটি পাললিক পাথরের নাম হতে পারে না , নাঙ্গলকাটার অবতল ভূমি ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে দেখেছি এখানে প্রতিটি মানুষের উদরদেশে একটি কালো রঙের বৃশ্চিক ঘুরে বেড়ায়

কোন মানুষ একবার সালফিউরিক দানাকে জড়িয়ে ধরলেই তারা নোনা পাথরের ঈশ্বরী হয়ে যায় খেয়াঘাটের পর



মিথোজীবী নারী ও শালগ্রাম চোখ


প্রতিটি নারী একাকী বেল পাতার মতো তিনটি পথ নিয়ে কালিদহ মুখে নেমে যায় , তারা কখনও খেয়া ঘাটে এসে রতিচক্রের কথা ভাবে না

কারণ এখানে অজস্র কালো রঙের পাথর অজগরের দাঁত হয়ে গেছে , কখনো নিধুবনের বিছানায় একাকী ক্রোমোজোমেরা বিশল্যকরণী পাতাবাহার রোপন করে দেওয়ার পর নিজের রেচন যন্ত্রগুলো ঘর্মাক্ত হয়ে উঠবে এই প্রজননকালের উর্বরক্ষেত্রে

৩৩ ডিগ্রি একটি অসুখের নাম হতে পারে হয়তো

পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ বকের শিরদাঁড়ার দিকে চেয়ে দেখেছি জীবিত স্তম্ভমূল থেকে নেমেই সকলে কাল্পনিক ঝুলে থাকে সাপের মতো আমি কতবার লিবিডো অসুখের কথা ভুলে বিষাদ স্তন খেয়েছি তৃতীয় বন্ধনীর মতো ,

আমার শীত লাগে জড়িয়ে ধরি পাগল নারীকে মিথোজীবী চন্দ্রগ্রহণ দিনে

আমার রক্তাক্ত পোশাক চাঁদে মিলে দেওয়ার পর এক প্রবাল পাথরের বাতাস বয়ে গেলো আমার দরজায় থাকা ময়ূরীর কাছে তারা সকলেই স্থির চোখ নিয়ে দেখে যাচ্ছে আমাদের পরকীয়া আর বিধ্বংস পাথর খেলা

রাত শেষ হলেই আমরা সকলেই পাথরের শালগ্রাম হয়ে যাই ,



নিষিদ্ধ মেডিকেল অথবা গর্ভপাত রোগী


আমাদের হাতে কোন অস্ত্র থাকে না বড় আর হলুদ কংক্রিট রাস্তা ধারে আমার বাবা বারবার ভ্রূণ বৃত্তান্ত পড়িয়েছিল আমাদের মাকে অথচ আমরা একটিও গ্রস্ত উপত্যকা খুঁজে পেলাম মদ্যপ ঘোরে

না কোনদিন ভিস্কোডিনে অথবা নেক্সিটো প্লাস ঘোড়াটিকে নিরাময় ভেবে আমার শরীরের চারপাশের কৌণিক বিন্দুতে স্থাপন করিনি আমার নারী আমাকে সন্দেহ করে প্রজাপতির সমবায় নগরীর মতিহার নিয়ে , মর্গে থাকা একটি সেবিকাই ডপলারের স্পন্দন শুনিয়েছিল তার নাম কাজল মল্লিক বললেই আমি লজ্জা পাই

আমি গলার কাছের বোতামটা আলগা করি

পায়ের ক্ষত মুখের তিন ইঞ্চি মাটির উপর দিকে থাকে কঙ্কালের ফসফরাস দাঁত , তেরোটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ নিজেরাই হেসে ওঠে এক পরজীবী ছায়ায়

তারা নামের পুরুষ কখনও একটি মেডিকেল শপের নিচে দাঁড়িয়ে নিজেদের নিষিদ্ধ ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরতে পারে না ,কারন তার লুব্রিকেটেড কিনতে খুব লজ্জা লাগে গর্ভপাত রোগীদের মতো

আমি তবে কি একটি সন্তানের পর সব ইস্ট্রোজেন পাথরকুচির মতো উড়িয়ে চলি বায়বীয় করে , সকল শ্বাসবায়ুকে ভালবাসেনা তাই আয়নার কাছে দাঁড়াতে নেই , আয়নার ভেতর একটি গভীর হার্টের অসুখ আছে

ঘরের ভেতর ভাঙ্গা আয়নাটি আসলে গর্ভকেশরের রক্তজালক মাত্র




একটি আততায়ী পোশাক ও ওভরাল এল


প্রতিদিন ইকোস্প্রিন ওষুধ খাওয়ার পর উচ্চরক্তচাপে মিশে যাওয়া সাদা রক্ত কণিকার গায়ে অজস্র উদ্ভেদ দেখা যায়

সূর্যমুখীর চারা গাছ ভেঙে ভেঙে আমাদের কোকিলেরা আজ ঘরমুখো বিবস্ত্র পুরোহিত

একটি বস্ত্রালয়ের নারী প্লাস্টিক নারীর সব উপাংশ রেখে যায় আমাদের কঙ্কালের নিউক্লিওপ্লাজমের কাছে

আমাদের কোন হিমশীতল ক্ষেত্র নেই , আজ দ্বারকা নগরীতে একবার ইন্দ্রপ্রস্থের পত্তন হোক

ঈশ্বর আমি ও বাবা একসাথে বিষ খেয়েছিলাম চৈতন্য পুরুষের সাথে , আমাদের জামার ভেতর আলাদা তিন অসুখ ছিল

বৈরাগ্য ,ক্রোধ ও পাটি গণিত

হত্যা করার পর এখন ভ্রূণের শরীর থেকে দারুচিনির একটি গন্ধ উড়ে আসে তাকে আমি হলুদ রং দিয়ে ঢেকে রাখি তিনটি পেন্ডুলাম ঘড়ির নিচে

২০০ মিলিগ্রামের ওভরাল এল আর চার সপ্তাহের ভ্রুণ পরস্পর সমরেখ বিন্দুতে অবস্থান করে আছে

তারা সকলেই ৪ নম্বর কেবিনের ধারালো ফরসেপের ওপর কঙ্কাল বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

আবহাওয়াবিদ ক্লোরোপ্লাস্টিড সজীব মানুষগুলোকে আপাদমস্তক লগারিদমের জটিল শিরাবিন্যাসে ঢুকিয়ে রাখে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত

আমরা সকলেই এ নেগেটিভ রক্তের সন্ধানে চললাম নীলাচলের দিকে , আমাদের শরীরে কালো রঙের আততায়ী পোশাক

নীরবের ঘুমঘুঙুর || ইহিতা এরিন, z-poems

 নীরবের ঘুমঘুঙুর || ইহিতা এরিন




রাত একথালা নেশাতুর নিশিবাদ্য

   বাজছে খলবলিয়ে কিন্তু শব্দ হচ্ছে না


নীরবতা; সব কান্নায় চোখের জল জরুরি নয়...


         অভিমানে ফেটে পড়ে আঙুরের ঘুমঘুঙুর নাতিদীর্ঘশ্বাস


দ্রবীভূত কুয়াশার ঘ্রাণ থেকে ঝরছে ওচানের জরায়ু


জলে কোন জল থাকেনা যেমন পায়ে থাকে না পা


এমন পাহীন রাতের দরজা খুলতেই চোখেরা সটান দাঁড়িয়ে যেন ওয়াচডগ

Wednesday, February 2, 2022

নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা ।। নিমাই জানা, z-poems

 নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা



(১) সিস্টোলিক ও স্থলপদ্মের জিভ



দেয়াল বেয়ে নেমে আসা সিস্টোলিক কলাবতী নারীরা কোন গম্বুজের রেতঃপাত থেকে আরো প্রাচীন মাধ্যাকর্ষণ হয়ে পড়বেন বশিষ্ঠ আশ্রমে  , বিষ্ণুর সৃষ্টি পিচ্ছিল তরল থেকে

কতকগুলো প্রাচীন সেবিকা প্যারালাইসিস রোগীর ডান হাতের স্নায়বিক অসুখের প্রথম অধ্যায়ে থাকেন

পরিচিত পাখিদের ডানা আর স্থলপদ্ম পুঁতে রাখে জিভ কোরকে ,

মৃতপ্রায় পুরুষদের নিয়ে আমি মৃত জাহাজের লোমকূপ ও গোপন প্রোতাশ্রয় ছুঁয়ে দেখি নরম মেহগিনি তলায় দাঁড়িয়ে

এখানে কোন ল্যাকটেট রঙের মানুষ নিজেকে ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে হত্যা করে না কোনোদিন , উচ্চতম পাহাড় বৃক্ষে দাঁড়িয়ে একা নিউটন চতুর্থ গতিসূত্র নির্ণয় করছেন পা আর স্নায়ুর ক্যালোরিফিক গতিপথ নিয়ে

এক গণিতজ্ঞ আমাকে কেবল চৌবাচ্চার প্রাচীন গনিত শিখিয়ে যায় ঐকিক নিয়মে , কেশব নাগ একটি শক্ত অভেদ গণিতের ভয় দ্রাঘিমাংশের নাম মাত্র


(২) আমার তলপেট ও নপুংসক ধান ঠোঁট


আমার তলপেটে শুয়ে আছে এক ধীবর , উলঙ্গ বাহার শাড়ি পরে শিব চতুর্দশীর দিনে মরচে রংয়ের ব্লেডে কেটে ফেলবে আমার জাগতিক এমবিক্যাল কর্ড আর ঈশ্বর জরায়ুর ধান চেরা ঠোঁট

আমি শুধু অবনতি কোণের দিকে চেয়ে থাকি , অবকলের নদে স্নান করা সুন্দরীদের দেখি , যাদের পিঠে  হিমালয়ের গোমুখ শুয়ে থাকে পাথরে গজিয়ে ওঠা দ্বিভুজ হরিণ ঘাসের  মতো

একান্তে জেগে উঠি আবারো কোন এক নপুংসক হয়ে , আগ্নেয় পাথর দারুচিনি বৃক্ষ হয়ে ঝুলে আছে বাতাবি ডগার উপর

সকলেই বিবস্ত্র হতে জানে সহজ পুরোহিতের নাভিমন্দিরে দাঁড়িয়ে , ভিনিগার মৃত মানুষকে অংশুমান করে তোলে একটি প্রাচীরের ধারে শ্যাওলা ওঠা তেলতেলে কড়াইয়ের নিচে নামিয়ে

সকলের পিঠে ধানের চারা রুয়ে দিচ্ছে আমার শিরদাঁড়ার বিচিত্র রঙের সাইন্যাপস আর জ্যোতির্ময় মাঝি

উপবৃত্তের নাভি বিন্দুর কখনো ঘুম পায় না বলেই সকলে সমাঙ্গ প্রাণীদের তলপেট ছিঁড়ে খায় খিদে পাওয়ার আগের মুহুর্তে

আমার জিভ আসলে একটি নগ্ন রাধিকার নাম


(৩) ইলোরা নারী ও দক্ষিণ বারান্দা



হিমোগ্লোবিন পাখিটির মতো আমি ক্রমে নরম মাংসাশী হয়ে উঠি,  ফার্মেসি দোকানে কাঁচের ভেতরে থাকা ইলোরা নারীদের গোপন অঙ্গ আর খাজুরাহো সরীসৃপেরা পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ এনজাইম খাচ্ছে

নীল রঙের দাঁতাল পুরোহিত কিছু গলব্লাডারের ভেতর জমে থাকা পাথরের কণাগুলো রোপন করে আমার দক্ষিণ বারান্দায় এসে ,  যান্ত্রিক পুরুষটি মৃত্যু বিষয়ক কীটনাশক রেখে গেছে পান্থপাদপের গোপন ছায়ার নিচে  , হাঁটতে হাঁটতে ঈশ্বর মোহ পাথরের গুঁড়ো ফেলে যাবেন সনাতন চৌকাঠের ডগায়

সঙ্গমের স্থায়িত্ব মাত্র সেকেন্ড ভগ্নাংশ অথচ চৈতন্য অজস্র সঙ্গম করে গেছেন প্রতিটি কম্বোজ শরীরের ভেতর

তারপর তুলসী পাতা চিরহরিৎ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পরভৃৎ উঠোনের চারপাশে মৃত মানুষকেই খাবে বলে , মাংসাশী দাঁতের বিভাজ্যতা নেই

মাধুকরীর স্তব বলতেই ১৩ টি সাইকোলজিক্যাল মীনরাশি সন্ধ্যাকালে নেমে আসছে তেরো দফা হুক খোলা ব্লাউজের উপর ,

কালো রঙের অন্ধকার আর আমার মাথার ভেতর জেগে থাকা সাইক্রিয়াটিক রোগ পরস্পর সমানুপাতিক ,অ্যাক্রেলিক রঙের আদ্যাশক্তি কুয়াশা খাচ্ছেন বাকল খুলে রেখে , জামাটি প্রাচীন

অসুখে ভোগার পর আমি ভুল করে রজঃ নেশা ছেড়ে বিছানার জগন্নাথ কোণে দাঁড়িয়ে ঘামের স্ফটিক স্থানাঙ্ক  খুঁজে ফিরি সারারাত অবৈধ বৃষ্টিপাত হয়েছে

পাথরের শালগ্রাম রোপণ করেছি নিউক্লিয়প্লাজমের ডান বাহুতে


(৪) সান্তনু পুত্র ও সক্রেটিস রোগী


অ্যালকোহল নেশা চলে গেলেই আমি উন্মুক্ত স্থানে বসে একটি রঙিন বাঁশি বাজাই

করবী ফুলের পাতা , দেহ আর চুল শুকানোর নরম জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই এই সংসার নৈঋতে

পাতাবাহারের কাল্পনিক দেহ থেকে ঝুলে থাকা অদৃশ্য রোগীরাই উবু হয়ে বসে বসে অদৃশ্য সান্তনু পুত্রদের একত্রে মনোযোগী করে তুলবে অপুষ্পক সংখ্যায়

পাতাবাহারের কাল্পনিক নাম বাবার আত্মহত্যার বিষধর ওষুধ বোতলে মিশে গেছে কাকতালীয় জালক বিন্যাস হয়ে

আমার চারপাশে উড়ে যাওয়া বর্গাকার বকের দেহ থেকে আমি লাল চন্দনের শোক বাহুটিকে নামিয়ে আনবো জলাশয়ের ধারে আমরাও বিজয় পুরুষটির সাথে সক্রেটিস হয়ে যাব সরলবর্গীয় আকাশমনি তলায় দাঁড়িয়ে

ক্লোরোসিস পাতায় কোনো ক্ষত নেই বলে মিলিমিটার স্কেল দিয়ে পিঠের শিরদাঁড়া মারছে এ্যালজোলাম রাত আর দ্রাঘিমা হীন গাইনোকোলজিস্ট

খেয়া ঘাটে এলে আমার বুকের ব্যথাটা চওড়া হয় ত্রিভুজ সংসারের মতো, বিপ্রতীপ বাহুগুলো উড়ে যায় আমার পাঁজরের কালো রশ্মি গুচ্ছ গ্ৰামে ,  আমি তাকে সুপুরুষ বলতেই পারি

একটি ব্যবচ্ছেদ টেবিলে দুটো ফরসেপ নিয়ে নিরক্ষীয় দৈর্ঘ্য আর সনদের মধু রাতগুলো কেটে দিচ্ছে তিনটি নার্স , একটি ভ্যালিয়াম , তিনটি গোলাপি কাপড়ের গজ ও ১৪ টি ক্যাটগার্ড


(৫) ধনাত্মক মধ্যরাত ও পানিথরের  উদ্ভিদ



খাদকের কোন গন্ধ নেই

১৩ জোড়া পুরুষের পারমার্থিক বিবাহ হয়ে যাওয়ার পর সকলেই বাবলা বৃক্ষের গর্ভকেশর রোপণ করলেন ,

ধনাত্মক স্থানাঙ্ক মধ্যরাতে এসে পূর্ণিমার রাতে প্রতিটি পুরুষ ক্রমশই অভিমুন্য ক্ষেত্র বরাবর হেঁটে যায়

পুরোহিত দেহের উন্মুক্ত স্থান বলতে কঙ্কালের কালো বিছানার গোপনাঙ্গকে বোঝায়

পাশাপাশি বসে আছি নিরক্ষীয় সুতোয় বেঁধে দেব গর্ভপাতের স্থানগুলো , প্রতিটি নৈঋতে সূর্যমুখী ফুল আর পানিথর উদ্ভিজ্জ সংলাপগুলো রোপন করে যাচ্ছেন হলুদ ধানের চারাগাছ , কীটনাশক রোম তাদের ঠোঁট থেকে নেমে যাওয়ার পর পানকৌড়ির নিরাময় বৃক্ষেরা বৈষ্ণব চিহ্ন মাথায় রাখে

আলেকজান্ডারের শিরদাঁড়া দেখেছে সূর্যের অবনতি কোণ নামক সহস্য সংখ্যার জ্যামিতিক নারী , ভৌগোলিক তিনি,

মৃত নারীর গোপনাঙ্গের চেয়ে প্রাচীন কোন জনপদ নেই

জ্যামিতি বক্সের ভেতর প্রতিটি পুরুষ খণ্ডিত হয়ে শুয়ে থাকে , তার মাপ শুধু অর্ধ চাঁদই জানে , আর ক্ষত জানে ক্যাকটাসের রোদ

Sunday, January 30, 2022

বিয়োগফুল || ইহিতা এরিন, z-poems

 বিয়োগফুল || ইহিতা এরিন



কহাকহির নামতা উড়ে গেলে সব ঠোঁট  বিয়োগচিহ্ন। 

যেসব ড্রইংরুম এককে যৌথ— যেন তারা নিঃসঙ্গ কফিন পেয়ালা।


প্রপিতার ব্যক্তিগত হাসপাতাল 

বিছানায়

সকল নামের বিয়োগচিহ্ন 

যোগ হয়—

প্রত্যেক নাম ফোটায় বিয়োগফুল। 


সম্পর্ক, 

বাগানের চিবুক থেকে খসে পড়ে লালের চিহ্ন। 

মানুষ, 

জন্ম থেকেই নিঃশেষ-বিভাজিত বিয়োগজীবী।

Thursday, January 27, 2022

দেবার্ঘ সেন- এর কবিতা ।। Debarghya Sen

দেবার্ঘ সেন- এর কবিতা ।। Debarghya Sen



দড়ি টানাটানি খেলা


(১)


চাইলে অভিযোগের স্তরে দাঁড়িয়ে একটা শলাকা গেঁথে তার নীচে জীর্ণ ঘাসেদের বুকে অনভিজ্ঞ আঘাত হেনে, অনেকধরনের কায়দা দেখানোই যেত। 

কিন্তু সে কায়দায় যে রক্তের দাগ এবং ঘন ঘন ঈশ্বর উচ্চারণ, তার যে অসহায়ত্ব তার যে নির্নিমিখ প্রবাহ--- তা থেকে কৈফিয়ৎ চ্যুত হলেই তো বস্তুবাদ, শূন্যের মতো একটা স্থূলতা--- গুরুমস্তিষ্কে প্লাস্টিকের উন্মেষ ও আগত মৃতবোধ--- তা কী হৃদয় সমীচীন... 

সেই সমীচীনেই হেঁটে চলে বেড়ায় আজও মানসিক স্বাস্থ্য 

এই আমার মোটের ওপর অভ্যেস 

অথবা তুমি বুঝে নিও এ আমার এক উন্নয়ন বোঝা---


(২)


স্বীকার ও অস্বীকারের মধ্যে 

ক্রিয়াশীল পেন্ডুলাম,

তৃতীয় ঢেউয়ের মতো যুক্তাক্ষরহীন। 


দুয়ারে ভেসে যাবে সব, 

ধারে আর ক'দিন ভরবে পেট

স্তব্ধ ট্রাকিয়া থেকে 

শিকড়ে গজাবে মৌনতা। 


বাঁচার অধিকার থেকে মাস্ক পরতে হবে

তুমিও বলবে আমেন 

মাস্ক পরে আত্মহত্যা করো..


(৩)


মস্তিষ্ক থেকে মনকে পৃথক করার যে ভবিষ্যৎ 

তাই হল প্রেম। 

শরীর মধ্যস্থিত কোনও এক সংগঠন, ক্রীড়া-প্রতিযোগিতায় 

রেখে গেছে তার

দড়ি টানাটানি খেলা। 


এখন এই মৃত্যুলাভের সময় বিদীর্ণ অভিধানে

কাকে তুমি বলবে মাতব্বর!! 


সংক্রমণ ঘটানো যেমন সোজা কথা নয়

নয় তেমন প্রেমাভিভূত হয়ে 

কেটে ফেলা স্বনির্বাচিত কবিতা সকল


(৪)



কৃত্রিম কিছু দুঃখ নিয়ে, পৃথিবী আজও ঘুরছে

সূর্যের হৃদয় থেকে ধীরে ধীরে সঞ্জাত রক্তেরা 

প্রকাশ করছে, মানুষের সুখ ক্ষতি পুড়িয়ে দাও।

বিভাজিত দুঃখের মধ্য থেকে পরশ লাগুক মৌলিক দুঃখের 

করোনা স্তরের ভেতর হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়ামের পরিবর্তনে

যেভাবে উৎপাদিত আলো ও তাপ

সেই পোড়া মানুষও পুড়ুক

চিনে নিতে প্রকৃত জীবন।

Thursday, January 20, 2022

ইহিতা এরিন-এর কবিতা ।। zedpoems.net

ইহিতা এরিন-এর কবিতা


 

১। ১টি পার্থিব; কয়েকটি অপার্থিব অভিমুখী 


০ের পাশে শব্দকে শুইয়ে দিলে 

নৈঃশব্দ্য দাঁড়িয়ে  

                 অন্ধকারের 

চিবুক ছুঁয়ে

সংখ্যার সাথে শব্দবন্ধ 

জড়ো করলে ওড়ে ~ পোশাকি তারিখ

জীবনের সাথে তারিখ 

সেলাই করলে 

                        আলবৎ

 সংখ্যা-মৃত্যু


আমরা জানি     (মৃত্যু) = (বিয়োগ)


মানুষ মূলত অমর; মৃত্যু তার জন্য ইস্যু নয় করতলে বয়ে যায় মৃত্যুজ অগণন 


কেননা 

জীবিত মানুষের       মৃত্যু-অভিজ্ঞতা নেই



২. ডিভাইন কমেডি 


মৃত মাছের চোখ আমি অথবা বেয়াত্রিচ

স্বাক্ষরের কাঁটাতার পেরোনোর চেয়ে সহজ খুব ফুসফুস বরাবর ঠাসা এ কে ফর্টি সেভেন। 


দান্তে অথবা তোমাকেই ফরাসি চুম্বন 

উড়িয়ে দিয়েছি ভোরের কুয়াশা বাক্সে।


আমাদের মাঝে সাইঁত্রিশ সংখ্যক ভীড়বাট্টা।

নিষিদ্ধ চুম্বনের ঠোঁটোগ্রাফে এলো

জেলখানা ফেরত খাম—হলো কুয়াশাই জয়ী কিংবা অনন্ত মিথ্যে।


ডিভাইন কমেডি হাসলো হা হা...!!


৩. অতল জলের স্তব্ধচিত্র 

 


লাল কাঁকড়ার ঠোঁটোগ্রাফ

একদিন

বরফআগুন

কমছে কামজ্বর

জমছে কাশি

          উত্তপ্ত-০ থালা

               

ঘুম ~বারান্দায় : অতিদ্রুত কণ্ঠস্বর দর্পণে 

স্থির ল্যান্ডস্কেপ। পটে আঁকা সমুদ্র-সারস বিগত


শতাব্দীর মুণ্ডমালা

বিউগল 

তীব্র কোলাহল

সিলগালা জিহ্বা ~ নিরপেক্ষভূমি

Saturday, December 4, 2021

Z-Poems ।। Arun Das

 Z-Poems ।। What name do I give you today?

                     

                         ~ Arun Das



One


Whose smell is written in the sweat of your pain and imagination?


At body warmth? 

Whose smell do I leave to the unbalanced time  written in the blood? 

Whose care of wind is blown all over your sick body.....l write, only his name in the page after page.




Two


The dead river didn't tell me her name


I keep my fallen footprints in her dry fringe silently. 


Fresh birds fly away, touching her lifeless water.


Thorn clouds store in her curvy breasts


Today, I spread the smell of shadows in sun blue leaves

The spellbound Sun opens the hem.


I see him at the turning point.


In the downpour


Returning home with the fresh Sunshine.


The juvenile river that dwells as the sun in the yard of the mind,

....... becomes the woman of my dreams.




Three


You are not woman, not even lady 


Teenage youthful stream


You just love


Love like moonlight color


Whose blown ashes.......


Poison of the evening.......


Makes everything beautiful


Men see me, you are just a lady's nest.



Let's merge to Mahua fragrant night


Broken the familiar fringe

.....in the water, where fireflies hides their faces.





Four


Oneday the Sun will break the canvas and merge with the moon.

In the illusory moonlight

The calm river wipes the eyes upon your breast.

The moonlight plays in the calm smoke.

The night flies

The darkness of the eye broke in a night.

I uncovered the deceased moon upon the call of intense shadow.

In the midst of dead dreams.

I scribed more darkness in my heart than the care I have showed you.








Five


Who became blue in the body odor of spring water?


—You, he's just you.


 Whose gray leaves keep the darkness?


- Yours, only yours.


I keep the night open today


I keep the tree open


Lamp colored air


I overlay Mahua fragrance on my eyes


In the eyes of the shy night


The lost river wakes up  in the green darkness


I broke........


The heart


The flower


The woman


The song of the Moonlight fairy 


One day to break, I wiped you out in the dark ...





Six


You are, yet why am I lonely in your darkness?

.....................................


Today, in the awakening light of heart, our sad waters lie ...


Wakes up lying down


When come back, the sign of sky fell on on the leaves


Is happiness in the blind light better than darkness?


Go back to the city of the dead,  as not to grieve for the dead wind


Hide yourself in the algae-colored lake


Even today,


Those  silent deposits are on the fallen leaves


Crowds of lost eyes


When the desert wakes up


Inside the erased memory


All those silent nights, with wet hair painted by Alpana....


Called by name


Yet, with love, all the darkness of the world could be removed.

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস ) বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া ।। চিত্রা ভট্টাচার্য্য, Chitra Bhattacharya

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস ) বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া।  চিত্রা ভট্টাচার্য্য " পরম চেতনার পথে কবিতা ;'...