ঘুড়ির নাম স্বজন
অলোক বিশ্বাস
পূর্ণতা সহকারে ঘুড়ি নেমে আসে। নামে সেখানে, যেখানে নীরবতা নিয়ে ব'সে আছি আমি। যদি হৃদয়প্রদেশে রাখা যায় কিছু ঘুড়ি, কেমন হয়, ভাবছি তাহা। সেই প্রকার হৃদয়, যাহা কেবল বেদনায় ভরা, সেইখানে ঘুড়ি ওড়ে কিভাবে। ঘুড়ি এলে উপেক্ষিত হৃদয়ে, কেমন হয়, ভাবছি তাহা। উপেক্ষাগুলি নীরবতা হয়ে জেগে থাকে। নীরবতা ভুলে যেতে সকলের সাথে গ্যালারিতে ব'সে
হাততালি দিই। মিছিলে শ্লোগানে এ্যাতো এ্যাতো কণ্ঠ মিলিয়ে, নীরবতার চোখ থেকে একফোঁটা আগুন ঝরাতে পারিনি। সামনে অনেকগুলো বেদনাময় ব্রিজ। সামনে আরো বিশাল জনপদ সহায়তাহীন জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। পোড়বার পর তাহারাও সম্পূর্ণ নীরব হয়ে যাবে। সেইসব নীরবতা লক্ষ্য কোরেছে, এমন সাক্ষীও হয়তো একদিন কেউ থাকবে না। চলনবিলে উড়ে যাওয়া কোনো মাছরাঙা আমার অনুভবগুলি হয়তো অনুভব করে। আমি কি জানি নীরবতার মুদ্রাগুলি কোথায় কিভাবে খেলে। আমি কি জানি কোথায় রাখতে হবে চিহ্নগুলি। একটা ঘুড়ি উড়ে আসে আমার সম্মুখে এবং কিছু প্রশ্ন বাড়িয়ে দেয়। নীরবে তাকিয়ে আছি স্নেহময় ঘুড়িটির দিকে...
ছিন্নপাতার সাজাই তরণী.....
ReplyDelete